দখিনের খবর ডেক্স ॥ বরগুনার আমতলীতে এক দিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক অপরদিকে এনজিওর ঋনের চিন্তার কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ । সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসনের নির্দেশনার কারণে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনে আমতলীর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় ব্যাটারি চালিত অটো ও রিকশাসহ ক্ষুদ্র যানবাহন চালকরা রাস্তায় নামলেও তেমন যাত্রী নাই। এছাড়াও বিভিন্ন পেশার দিনমজুরের আয় কমে গেছে অনেক। করোনা আতঙ্কের জন্য আয় কমে গেলেও ছাড় দিচ্ছে না এনজিওগুলো। এনজিওগুলোর কর্মীরা সকাল অটোরিকশা চালক মামুণ মিয়া বলেন, ৫০ হাজার টাকা কিস্তি নিয়ে অটোরিকশা কিনেছি। প্রতিদিন ৫শ’ টাকা আয় হতো। সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করে সংসার চলে যেত। এখন সারা দিনে আয় হয় ১ থেকে দেড়শ’ টাকা। কিস্তি দিব, সংসার চালাবো নাকি বৃদ্ধা মায়ের ওষুধ কিনব? পেটে পাথর বেঁধে থাকলেও কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে। এই রকম চিত্র উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ১ টি পৌরসভার প্রতিটি গ্রামে । করোনা ভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে এজন্য লোক সমাগমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এনজিও মাঠকর্মীরা গ্রামে কিস্তি আদায় করতে গিয়ে অবাধে লোক সমাগম করছে। আমতলী উপজেলার আনাচে-কানাছে ঋণ বিতরণ করে প্রতিনিয়ত কিস্তি আদায় করছে ব্র্যাক, প্রশিকা, এস এস এস , ব্যুরো বাংলাদেশ, আশা, রিক, পদক্ষেপসহ, অর্ধশতাধিক এনজিও । আমতলী উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক মো. জাকির হোসেন মুঠোফোনে বলেন , সরকারের সতর্কতা জারির কারণে ও করোনা আতঙ্কে সাধারণ মানুষের আয় কমে যাওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন। তার উপরে এনজিওদের ঋণের চাপ মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিস্তির টাকা আদায় বন্ধে সরকারের এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আমতলী প্রেসক্লাব সভাপতি মো. রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেনএই দুযোর্গময় সময়ে সকল প্রকার ঋনের কিস্তি বন্দ রাখা উচিত। এ ব্যপারে সরকারের জরুরী ব্যবস্থা নেয়র জন্য দাবী জানান। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, সকল এনজিওকে ডেকে এ ব্যাপারে নিদেশনা দেয়া হবে।
Leave a Reply